👲আদর্শ অভিক্ষার লক্ষণ : 👄

GK Topic
0

 

Table of Contents

👲আদর্শ অভিক্ষার লক্ষণ : 👄..... 2

ব্যবহারিক লক্ষণগুলি হল. 2

বিশেষ কলাকৌশল সমন্বিত লক্ষণগুলি হল. 2

ব্যবহারিক লক্ষণ##. 2

ক) উদ্দেশ্য (Purposiveness) : 3

খ) ব্যাপকতা (Comprehensiveness): 3

গ) মিতব্যয়িতা (Economical): 3

ঘ) সুগমতা (Easiness) : 3

ঙ) সর্বজনগ্রাহ্যতা (Acceptability) : 3

চ) প্রতিনিধিত্বমূলক (Representativeness) : 4

বিশেষ কলাকৌশল সমন্বিত লক্ষণ##

ক) বস্তুনিষ্ঠতা বা নৈর্ব্যক্তিকতা (Objectivity) : 4

(4) ভেদবোধক (Discriminative) :. 4

(গ) নির্ভরযোগ্য (Reliability) : 5

(ঘ) বৈধতা বা যথার্থতা (Validity) : 5

6) আদর্শয়ান (Standardization) 6

 


আদর্শ অভিক্ষার লক্ষণ গুলি কি কি (Criteria for Selecting Tests or Criteria for Standard Tests) :

 

👲আদর্শ অভিক্ষার লক্ষণ : 👄

আদর্শ অভিক্ষার লক্ষণ বা বিশেষত্বগুলি বিশ্লেষণের মাধ্যমে স্থির করতে হয়, অর্থাৎ কোন অভীক্ষাকে ফলদায়ক ভাবে ব্যবহার করতে হলে তার বিশেষ কতগুলি লক্ষণকে গুরুত্ব দিতে হয়। এই লক্ষণ বা বিশেষত্বগুলিকে মুখ্যতঃ দুটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়

 

 

 

) ব্যবহারিক লক্ষণ (Practical Criteria), 

বিশেষ কলাকৌশল সমন্বিত লক্ষণ (Technical Criteria).

 

ব্যবহারিক লক্ষণগুলি হল

) উদ্দেশ্য (Purposiveness),

 ) ব্যাপকতা (Comprehensiveness), 

) মিতব্যয়িতা (Economical)

 ) সুগমতা (Easiness),

সর্বজনগ্রাহ্যতা (Acceptability), 

) প্রতিনিধিমূলক (Representativeness),

 

 

বিশেষ কলাকৌশল সমন্বিত লক্ষণগুলি হল

) বস্তুনিষ্ঠতা (Objectivity) 

) ভেদবোধক (Discriminative); 

) নির্ভরযোগ্য (Reliable), 

) বৈধতা (Validity), 

) আদর্শমান (Norm) বা আদর্শায়ন (Standardization)

 

ব্যবহারিক লক্ষণ##

 

ব্যবহারিক লক্ষণ বা বিশেষত্বগুলির আলোচনা নীচে করা হল:

 

উদ্দেশ্য (Purposiveness) : আদর্শ অভীক্ষার সর্বপ্রথম বিশেষত্ব হল যে, অভীক্ষার সঠিক একটি উদ্দেশ্য নির্ধারিত হয়ে থাকবে। অর্থাৎ আদর্শ অভীক্ষার নির্মান তখনই সম্ভব হবে যখন নির্মাণকর্তার সামনে কোন উদ্দেশ্য, লক্ষ্য বা সমস্যা অবশ্যই থাকবে শারীরিক সক্ষমতার অভীক্ষা রচনা করতে গেলে সর্ব্বদাই উদ্দেশ্য থাকে কিভাবে তার উপাদানগুলি মাপা যায়।

 

ব্যাপকতা (Comprehensiveness): আদর্শ অভীক্ষার দ্বিতীয় বিশেষত্ব হল ব্যপকতা। এর অর্থ হল অভীক্ষাতে সেই সব পদ বা উপাদান স্থান পাবে যেগুলি অভীক্ষা সম্পর্কিত ক্ষেত্রের সমস্ত দিকগুলি পরিমাপ করতে পারবে। অন্যভাবে বলা যেতে পারে যে, অভীক্ষাটির প্রয়োগ এমন ব্যাপক হওয়া উচিত যেন অভীক্ষাটি স্বীয় লক্ষ্য করতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে গতিসঞ্চালক (Motor Fitness) সক্ষমতা পরিমাপের অভীক্ষার করতে হলে তার উপাদান বা ব্যাটারি এমন ভাবে নিতে হবে যাতে গতিসঞ্চালক সক্ষমতার সব উপাদান গুলি একই সাথে মাপা যায়।।

 

মিতব্যয়িতা (Economical): মিতব্যয়িতা আদর্শ অভীক্ষার একটি মুখ্য আবশ্যিক লক্ষণ। আজকের কর্মব্যস্ত বৈজ্ঞানিক এবং উদ্যোগমূলক যুগে মিতব্যয়ী হওয়া আমাদের জীবনে অত্যন্ত আবশ্যিক বিষয়। এই আবশ্যিকতা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আজ সমভাবে প্রযোজ্য। তারই জন্য এমন একটি আদর্শ শারীর শিক্ষা তথা ক্রীড়া অভীক্ষার প্রয়োজন যা সর্বতভাবে মিতব্যয়ী হবে। অর্থাৎ, স্বল্পব্যয় এবং পরিশ্রমে সামাজিক চাহিদা অনুযায়ী ব্যক্তির যোগ্যতা পরিমাপ করা সম্ভব হবে। সুতরাং; সময়, অর্থ, ব্যক্তির চাহিদা যোগ্যতার পরিপ্রেক্ষিতে অভীক্ষার নির্মানকার্য সাধন করা উচিত।

 

 সুগমতা (Easiness) : আদর্শ অভীক্ষার অন্য এক বিশেষত্ব হলো; অভিক্ষাটি প্রয়োগ, ফলাফলপ্রাপ্তী এবং বিশ্লেষণের দিক দিয়ে যেন সর্বদা 'সুগম হয়। অর্থাৎ; অভিক্ষার দ্বারা সহজে একটি বিশেষ গুণ বা সক্ষমতার পরিমাপ করা যাবে, এর প্রয়োগের দ্বারা কোন কঠিন বিষয়ের বিশ্লেষণ সহজ হবে এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী একে প্রয়োগ করা যাবে। অভীক্ষাটি যত সুগম হবে তত তার মূল্যায়ন সরলতা এবং দক্ষতার সাথে করা যাবে।

 

সর্বজনগ্রাহ্যতা (Acceptability) : এটি আদর্শ অভীক্ষার অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ বা বিশেষত্ত্ব। অভীক্ষাটি এমন হবে যে সমস্ত ব্যক্তিবর্গ যেকোন পরিস্থিতিতে যেন এটি ব্যবহার করতে পারবে। অপর দিকে যাদের জন্য অভীক্ষাটি কার্যকরি তাদের জন্যই সেন সর্বদা অভীক্ষাটি ব্যবহার করা হয়, যেমন- AAHPER Youth fitness Test শুধু তরুনদের জন্য সর্বজনগ্রাহ্য, এটি কখনই ছোট বাচ্চাদের জন্য বহারযোগ্য নয়।

 

প্রতিনিধিত্বমূলক (Representativeness) : একটি আদর্শ অভীক্ষা তার ব্যবহারিক বিশেষত্বের দিক দিয়ে এমন হবে যে; ব্যক্তির আচরণ, শুন, কৌশল বা সক্ষমতা যেবিষয়ে অভীক্ষা পরিমাপ করবে সেই সব বিষয়ের মূল্যায়নের জন্য পরিমাপ যন্ত্রের প্রতিনিধি রূপে অভিক্ষা ব্যবহার করা যাবে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, শক্তির পরিমাপের অভীক্ষা হিসাবে আমরা Pull-up-test, Sit-up test, Push up test ব্যবহার করে থাকি। অর্থাৎ‍ এগুলি হল সমটান শক্তি পরিমাপক অভীক্ষার প্রতিনিধি স্বরূপ।

 

 

 

বিশেষ কলাকৌশল সমন্বিত লক্ষণ##

. বিশেষ কলাকৌশল সমন্বিত লক্ষণগুলির বিশদ আলোচনা নীচে করা হল :

 

 বস্তুনিষ্ঠতা বা নৈর্ব্যক্তিকতা (Objectivity) :

 

একটি আদর্শ পরিমাপযন্ত্র যদি বিভিন্ন ব্যক্তি একই জিনিস পরিমাপ করার জন্য ব্যবহার করেন, তাহলে প্রত্যেকেই একই ধরণের পরিমাপ পাবেন। যেমন, একটি লাঠির দৈর্ঘ্য মাপার জন্য যদি একটি স্কেল ব্যবহার করা হয়। এখন বিভিন্ন ব্যক্তি স্কেলের সাহায্যে দৈর্ঘ্য মাপতে গিয়ে যদি একই দৈর্ঘ্য পান, তাহলে বোঝা যাবে, পরিমাপটি সঠিক; সেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তিই তার নিজস্ব পর্যবেক্ষণের ত্রুটি আরোপ করেন নি। অর্থাৎ; কোন অভীক্ষা, একই ব্যক্তির উপর প্রয়োগ করে বিভিন্ন পরীক্ষক যদি একই স্কোর পান, সেক্ষেত্রে অভীক্ষটি নৈব্যক্তিক, অর্থাৎ বিভিন্ন পরীক্ষক দ্বারা প্রযুক্ত কোন অভীক্ষার একই স্কোর বা পরিমাপ দেওয়ার সম্ভাব্য মাত্রাকে বলা হয় অভীক্ষার নৈর্ব্যক্তিকতা। 'The objectivity of a test is the degree to which egually competent experimenters obtain the same result' আদর্শ বা উত্তম অভিক্ষা সর্বদা বিভিন্ন পর্ববেক্ষক দ্বারা একই উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ, উদ্দেশ্য যতই এক হয় তার। নৈর্ব্যক্তিকতা তত বৃদ্ধিপায়।

 

(4) ভেদবোধক (Discriminative) :. একটি আদর্শ অভীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হল তার পার্থক্য নির্ণয়কতা। পার্থক্য নির্ণায়কের তাৎপর্য হল পার্থক্য নির্ধারণের শক্তি যা যে কোন দিক দিয়ে দুটি শ্রেনীর পার্থক্য সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করে। শারীর শিক্ষার অভীক্ষার ক্ষেত্রে পার্থক্য নির্ণয়কতা থাকা আবশ্যক হয়। অর্থাৎ, অভীক্ষা তখনই পার্থক্য নির্ণয়ক হবে যখন তার প্রত্যেকটি পদ বা প্রশ্নের পার্থক্য নির্ণয় করার ক্ষমতা থাকবে। এখন প্রশ্ন হল কি ভাবে জানা যেতে পারে যে অভীক্ষার কোন পদ পার্থক্য নির্ণয়ক হবে কি হবে না। সাধারণ নিয়ম অনুসারে যদি কোন পরিমাপ যন্ত্রের পদ বা বিষয় উচ্চ বা নিম্ন যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে শতকরা 50 জন সামাধান করতে পারে তাহলে সেই প্রশ্ন বা পদ বা বিষয় পার্থক্য নির্ণায়করূপে বিবেচিত হবে।

 

 (নির্ভরযোগ্য (Reliability) : পরিমাপের সামঞ্জস্যপূর্ণ স্থিরতাকে বলা হয় নির্ভরযোগ্যতা। মনে করা যাক, একজন শিক্ষক তার শরীর শিক্ষা ক্লাসে একটি শারীরিক সক্ষমতার অভীক্ষা প্রয়োগ করছেন। স্বাভাবতই তার মনে কতকগুলি প্রশ্ন জাগতে পারে, যদি তিনি ছাত্রদের অভীক্ষাটি আবার প্রয়োগ করেন, তাহলে কি অনুরূপ ফল পাবেন? যদি অন্য কোন শিক্ষক ছাত্রদের উপর একই অভীক্ষা প্রয়োগ করেন, তাহলে তিনিও কি একই ফল পাবেন ? এই সব প্রশ্নের সঠিক উত্তরের সঙ্গে পরিমাপের নির্ভরযোগ্যতা জড়িত। 

 

দি কোন পরিমাপক যন্ত্র দিয়ে আমরা একই জিনিস বার বার পরিমাপ করে একই ফল লাভ করি, তাহলে বলা যাবে পরিমাপ যন্ত্রটি সম্পূর্ণভাবে নির্ভরযোগ্য।

 

শিক্ষামূলক মনোবৈজ্ঞানিক পরিমাপের ক্ষেত্রে বলা যায়, যদি একটি সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য অভীক্ষার দ্বারা একদল ছাত্রের কোন বিশেষ বৈশিষ্ট্য বা শুন পর পর দুবার পরিমাপ করা যায়, তাহলে প্রাপ্ত দুটি পরিমাপেক বন্টনের মধ্যে সহগতির সহগাঙ্ক (Correlation Coefficient) বড় হবে। কারন, আদর্শগত দিক থেকে একটি নির্ভরযোগ্য অভীক্ষা যে কোন বৈশিষ্ট্যকে ব্যক্তির মাধ্যে একইভাবে পরিমাপ করবে।

 

 (বৈধতা বা যথার্থতা (Validity) :কোন অীক্ষার দ্বারা যে বৈশিষ্ট্য পরিমাপ করতে চাওয়া হচ্ছে, অভিক্ষাটি যদি সঠিকভাবে তাই পরিমাপ করে, তবে বলা হবে অভীক্ষাটি যথার্থ। একটি প্রতিক্রিয়া সময় নির্ণায়ক অভীক্ষা যদি সঠিক ভাবে শুধুমাত্র প্রতিক্রিয়া সময়ের পরিমাপ করে এবং অন্য কোন সক্ষমতার উপাদান পরিমাপ না করে তবে বলা হয় অভীক্ষাটি প্রতিক্রিয়া সময় পরিমাপের জন্য বৈধ বা যথার্থ। 

 

 

কিন্তু শারীরশিক্ষা ক্ষেত্রে 'যথার্থতা' কথাটির তাৎপর্য এত সহজে ব্যাখ্যা করা যায় না। কারণ, এখানে যেকোন অভীক্ষাকে সঠিক ভাবে একক কোন বৈশিষ্ট্য পরিমাপকযন্ত্র হিসাবে বিচার করা যায় না। উদাহরন স্বরূপ বলা যায়, সিট-আপ-টেস্ট দ্বারা আমরা কখনো পেটের পেশীর শক্তি পরিমাপ করি, আবার কখনো পেটের পেশীর সহনশীলতা পরিমাপ করি। এখানে প্রশ্ন জাগতে পারে, সিট-আপ-টেস্ট পেটের পেশীর শক্তি মাপার পক্ষে যথার্থ বা বৈধ কিনা বা তার উল্টোটা। তবু বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের এই অভিক্ষা গুলোই ব্যবহার করতে হয় যাদের বৈধতা সম্পর্কে সন্দেহের অবকাশ আছে। সুতরাং শুধু শারীর শিক্ষা নয়, যে কোন শিক্ষামূলক অভীক্ষাগুলির ক্ষেত্রে যথার্থতা বলতে কোন চরম অবস্থাকে বুঝলে তা ভুল হবে। তাই আধুনিক শিক্ষাবিদ্‌গন শিক্ষামূলক মনোবৈজ্ঞানিক পরিমাপের ক্ষেত্রে 'যথার্থতা' কথাটি সব সময় আপেক্ষিক অর্থে ব্যবহার করেন এখানে চরম কোন মান নেই। এই আধুনিক ধারণা অনুযায়ী কোন অভীক্ষা যতটা সার্থকভাবে অভীষ্ট গুণকে পরিমাপ করতে সক্ষম হচ্ছে, তাই হল তার যথার্থতা।

 

6) আদর্শয়ান (Standardization) শিক্ষামূলক মনোবৈজ্ঞানিক অভীক্ষায় প্রাপ্ত স্কোরগুলির তাৎপর্য নির্ণয় করার জন্য কোন চরম মান থাকে না। এই জন্য একই স্কোরমান বিভিন্ন পরীক্ষকের কাছে ভিন্ন ভিন্ন অর্থবহ হতে পারে। একজন ছাত্র মোট ১০০ স্কোরের মধ্যে দাবার কেউ ভাবতে পারেন, স্কোরটি মধ্যম পারদর্শিতা নির্দেশক। এমনকি, অনেকে ভাবতে পারেন, স্কোরটি নিম্ন পারদর্শিতার 50 পেলে, তার অর্থ শতকরা 50 ভাগ পারদর্শিতা নয়। কেউ সেই স্কোরকে উচ্চ স্কোর হিসাবে বিবেচনা করতে পারনে। পরিচায়ক, কারণ অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের সকলে ৫০-এর উপরে স্কোর পেয়েছে। এই তিন ধরনের ধারণা গঠনের পদ্ধতি





#######################################################

আদর্শ অভিক্ষার লক্ষণ গুলি কি কি (Criteria for Selecting Tests or Criteria for Standard Tests) :


 


👲আদর্শ অভিক্ষার লক্ষণ : 👄


আদর্শ অভিক্ষার লক্ষণ বা বিশেষত্বগুলি বিশ্লেষণের মাধ্যমে স্থির করতে হয়, অর্থাৎ কোন অভীক্ষাকে ফলদায়ক ভাবে ব্যবহার করতে হলে তার বিশেষ কতগুলি লক্ষণকে গুরুত্ব দিতে হয়। এই লক্ষণ বা বিশেষত্বগুলিকে মুখ্যতঃ দুটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় –


১) ব্যবহারিক লক্ষণ (Practical Criteria)

২) বিশেষ কলাকৌশল সমন্বিত লক্ষণ (Technical Criteria).




## ব্যবহারিক লক্ষণগুলি হল

ক) উদ্দেশ্য (Purposiveness),

 খ) ব্যাপকতা (Comprehensiveness), 

গ) মিতব্যয়িতা (Economical)

 ঘ) সুগমতা (Easiness),

ঙ)  সর্বজনগ্রাহ্যতা (Acceptability), 

চ) প্রতিনিধিমূলক (Representativeness),


 \

## বিশেষ কলাকৌশল সমন্বিত লক্ষণগুলি হল

ক) বস্তুনিষ্ঠতা (Objectivity) 

খ) ভেদবোধক (Discriminative)

গ) নির্ভরযোগ্য (Reliable)

ঘ) বৈধতা (Validity), 

ঙ) আদর্শমান (Norm) বা আদর্শায়ন (Standardization)


 







ব্যবহারিক লক্ষণ##

 

ব্যবহারিক লক্ষণ বা বিশেষত্বগুলির আলোচনা নীচে করা হল

ক) উদ্দেশ্য (Purposiveness) : আদর্শ অভীক্ষার সর্বপ্রথম বিশেষত্ব হল যে, অভীক্ষার সঠিক একটি উদ্দেশ্য নির্ধারিত হয়ে থাকবে। অর্থাৎ আদর্শ অভীক্ষার নির্মান তখনই সম্ভব হবে যখন নির্মাণকর্তার সামনে কোন উদ্দেশ্য, লক্ষ্য বা সমস্যা অবশ্যই থাকবে শারীরিক সক্ষমতার অভীক্ষা রচনা করতে গেলে সর্ব্বদাই উদ্দেশ্য থাকে কিভাবে তার উপাদানগুলি মাপা যায়।


 


খ) ব্যাপকতা (Comprehensiveness): আদর্শ অভীক্ষার দ্বিতীয় বিশেষত্ব হল ব্যপকতা। এর অর্থ হল অভীক্ষাতে সেই সব পদ বা উপাদান স্থান পাবে যেগুলি অভীক্ষা সম্পর্কিত ক্ষেত্রের সমস্ত দিকগুলি পরিমাপ করতে পারবে। অন্যভাবে বলা যেতে পারে যে, অভীক্ষাটির প্রয়োগ এমন ব্যাপক হওয়া উচিত যেন অভীক্ষাটি স্বীয় লক্ষ্য করতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে গতিসঞ্চালক (Motor Fitness) সক্ষমতা পরিমাপের অভীক্ষার করতে হলে তার উপাদান বা ব্যাটারি এমন ভাবে নিতে হবে যাতে গতিসঞ্চালক সক্ষমতার সব উপাদান গুলি একই সাথে মাপা যায়।। চ


 


গ) মিতব্যয়িতা (Economical): মিতব্যয়িতা আদর্শ অভীক্ষার একটি মুখ্য আবশ্যিক লক্ষণ। আজকের কর্মব্যস্ত বৈজ্ঞানিক এবং উদ্যোগমূলক যুগে মিতব্যয়ী হওয়া আমাদের জীবনে অত্যন্ত আবশ্যিক বিষয়। এই আবশ্যিকতা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আজ সমভাবে প্রযোজ্য। তারই জন্য এমন একটি আদর্শ শারীর শিক্ষা তথা ক্রীড়া অভীক্ষার প্রয়োজন যা সর্বতভাবে মিতব্যয়ী হবে। অর্থাৎ, স্বল্পব্যয় এবং পরিশ্রমে সামাজিক চাহিদা অনুযায়ী ব্যক্তির যোগ্যতা পরিমাপ করা সম্ভব হবে। সুতরাং; সময়, অর্থ, ব্যক্তির চাহিদা ও যোগ্যতার পরিপ্রেক্ষিতে অভীক্ষার নির্মানকার্য সাধন করা উচিত।


 


 ঘ) সুগমতা (Easiness) : আদর্শ অভীক্ষার অন্য এক বিশেষত্ব হলো; অভিক্ষাটি প্রয়োগ, ফলাফলপ্রাপ্তী এবং বিশ্লেষণের দিক দিয়ে যেন সর্বদা 'সুগম হয়। অর্থাৎ; অভিক্ষার দ্বারা সহজে একটি বিশেষ গুণ বা সক্ষমতার পরিমাপ করা যাবে, এর প্রয়োগের দ্বারা কোন কঠিন বিষয়ের বিশ্লেষণ সহজ হবে এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী একে প্রয়োগ করা যাবে। অভীক্ষাটি যত সুগম হবে তত তার মূল্যায়ন সরলতা এবং দক্ষতার সাথে করা যাবে।


 


ঙ) সর্বজনগ্রাহ্যতা (Acceptability) : এটি আদর্শ অভীক্ষার অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ বা বিশেষত্ত্ব। অভীক্ষাটি এমন হবে যে সমস্ত ব্যক্তিবর্গ যেকোন পরিস্থিতিতে যেন এটি ব্যবহার করতে পারবে। অপর দিকে যাদের জন্য অভীক্ষাটি কার্যকরি তাদের জন্যই সেন সর্বদা অভীক্ষাটি ব্যবহার করা হয়, যেমন- AAHPER Youth fitness Test শুধু তরুনদের জন্য সর্বজনগ্রাহ্য, এটি কখনই ছোট বাচ্চাদের জন্য বহারযোগ্য নয়।


 


চ) প্রতিনিধিত্বমূলক (Representativeness) : একটি আদর্শ অভীক্ষা তার ব্যবহারিক বিশেষত্বের দিক দিয়ে এমন হবে যে; ব্যক্তির আচরণ, শুন, কৌশল বা সক্ষমতা যেবিষয়ে ঐ অভীক্ষা পরিমাপ করবে সেই সব বিষয়ের মূল্যায়নের জন্য পরিমাপ যন্ত্রের প্রতিনিধি রূপে ঐ অভিক্ষা ব্যবহার করা যাবে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, শক্তির পরিমাপের অভীক্ষা হিসাবে আমরা Pull-up-test, Sit-up test, Push up test ব্যবহার করে থাকি। অর্থাৎ‍ এগুলি হল সমটান শক্তি পরিমাপক অভীক্ষার প্রতিনিধি স্বরূপ।


 


 


 






বিশেষ কলাকৌশল সমন্বিত লক্ষণ##

২.২ বিশেষ কলাকৌশল সমন্বিত লক্ষণগুলির বিশদ আলোচনা নীচে করা হল :


 


 ক) বস্তুনিষ্ঠতা বা নৈর্ব্যক্তিকতা (Objectivity) :


একটি আদর্শ পরিমাপযন্ত্র যদি বিভিন্ন ব্যক্তি একই জিনিস পরিমাপ করার জন্য ব্যবহার করেন, তাহলে প্রত্যেকেই একই ধরণের পরিমাপ পাবেন। যেমন, একটি লাঠির দৈর্ঘ্য মাপার জন্য যদি একটি স্কেল ব্যবহার করা হয়। এখন বিভিন্ন ব্যক্তি ঐ স্কেলের সাহায্যে দৈর্ঘ্য মাপতে গিয়ে যদি একই দৈর্ঘ্য পান, তাহলে বোঝা যাবে, পরিমাপটি সঠিক; সেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তিই তার নিজস্ব পর্যবেক্ষণের ত্রুটি আরোপ করেন নি। অর্থাৎ; কোন অভীক্ষা, একই ব্যক্তির উপর প্রয়োগ করে বিভিন্ন পরীক্ষক যদি একই স্কোর পান, সেক্ষেত্রে অভীক্ষটি নৈব্যক্তিক, অর্থাৎ বিভিন্ন পরীক্ষক দ্বারা প্রযুক্ত কোন অভীক্ষার একই স্কোর বা পরিমাপ দেওয়ার সম্ভাব্য মাত্রাকে বলা হয় অভীক্ষার নৈর্ব্যক্তিকতা। 'The objectivity of a test is the degree to which egually competent experimenters obtain the same result' আদর্শ বা উত্তম অভিক্ষা সর্বদা বিভিন্ন পর্ববেক্ষক দ্বারা একই উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ, উদ্দেশ্য যতই এক হয় তার। নৈর্ব্যক্তিকতা তত বৃদ্ধিপায়।


(4) ভেদবোধক (Discriminative) :.কটি আদর্শ অভীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হল তার পার্থক্য নির্ণয়কতা। পার্থক্য নির্ণায়কের তাৎপর্য হল পার্থক্য নির্ধারণের শক্তি যা যে কোন দিক দিয়ে দুটি শ্রেনীর পার্থক্য সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করে। শারীর শিক্ষার অভীক্ষার ক্ষেত্রে পার্থক্য নির্ণয়কতা থাকা আবশ্যক হয়। অর্থাৎ, অভীক্ষা তখনই পার্থক্য নির্ণয়ক হবে যখন তার প্রত্যেকটি পদ বা প্রশ্নের পার্থক্য নির্ণয় করার ক্ষমতা থাকবে। এখন প্রশ্ন হল কি ভাবে জানা যেতে পারে যে অভীক্ষার কোন পদ পার্থক্য নির্ণয়ক হবে কি হবে না। সাধারণ নিয়ম অনুসারে যদি কোন পরিমাপ যন্ত্রের পদ বা বিষয় উচ্চ বা নিম্ন যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে শতকরা 50 জন সামাধান করতে পারে তাহলে সেই প্রশ্ন বা পদ বা বিষয় পার্থক্য নির্ণায়করূপে বিবেচিত হবে।


 


 (গ) নির্ভরযোগ্য (Reliability) : পরিমাপের সামঞ্জস্যপূর্ণ স্থিরতাকে বলা হয় নির্ভরযোগ্যতা। মনে করা যাক, একজন শিক্ষক তার শরীর শিক্ষা ক্লাসে একটি শারীরিক সক্ষমতার অভীক্ষা প্রয়োগ করছেন। স্বাভাবতই তার মনে কতকগুলি প্রশ্ন জাগতে পারে, যদি তিনি ছাত্রদের অভীক্ষাটি আবার প্রয়োগ করেন, তাহলে কি অনুরূপ ফল পাবেন? যদি অন্য কোন শিক্ষক ঐ ছাত্রদের উপর একই অভীক্ষা প্রয়োগ করেন, তাহলে তিনিও কি একই ফল পাবেন ? এই সব প্রশ্নের সঠিক উত্তরের সঙ্গে পরিমাপের নির্ভরযোগ্যতা জড়িত।


 


যদি কোন পরিমাপক যন্ত্র দিয়ে আমরা একই জিনিস বার বার পরিমাপ করে একই ফল লাভ করি, তাহলে বলা যাবে পরিমাপ যন্ত্রটি সম্পূর্ণভাবে নির্ভরযোগ্য।


 


শিক্ষামূলক ও মনোবৈজ্ঞানিক পরিমাপের ক্ষেত্রে বলা যায়, যদি একটি সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য অভীক্ষার দ্বারা একদল ছাত্রের কোন বিশেষ বৈশিষ্ট্য বা শুন পর পর দুবার পরিমাপ করা যায়, তাহলে প্রাপ্ত দুটি পরিমাপেক বন্টনের মধ্যে সহগতির সহগাঙ্ক (Correlation Coefficient) বড় হবে। কারন, আদর্শগত দিক থেকে একটি নির্ভরযোগ্য অভীক্ষা যে কোন বৈশিষ্ট্যকে ব্যক্তির মাধ্যে একইভাবে পরিমাপ করবে।


 


 (ঘ) বৈধতা বা যথার্থতা (Validity) :কোন অীক্ষার দ্বারা যে বৈশিষ্ট্য পরিমাপ করতে চাওয়া হচ্ছে, অভিক্ষাটি যদি সঠিকভাবে তাই পরিমাপ করে, তবে বলা হবে অভীক্ষাটি যথার্থ। একটি প্রতিক্রিয়া সময় নির্ণায়ক অভীক্ষা যদি সঠিক ভাবে শুধুমাত্র প্রতিক্রিয়া সময়ের পরিমাপ করে এবং অন্য কোন সক্ষমতার উপাদান পরিমাপ না করে তবে বলা হয় অভীক্ষাটি প্রতিক্রিয়া সময় পরিমাপের জন্য বৈধ বা যথার্থ।


কিন্তু শারীরশিক্ষা ক্ষেত্রে 'যথার্থতা' কথাটির তাৎপর্য এত সহজে ব্যাখ্যা করা যায় না। কারণ, এখানে যেকোন অভীক্ষাকে সঠিক ভাবে একক কোন বৈশিষ্ট্য পরিমাপকযন্ত্র হিসাবে বিচার করা যায় না। উদাহরন স্বরূপ বলা যায়, সিট-আপ-টেস্ট দ্বারা আমরা কখনো পেটের পেশীর শক্তি পরিমাপ করি, আবার কখনো পেটের পেশীর সহনশীলতা পরিমাপ করি। এখানে প্রশ্ন জাগতে পারে, সিট-আপ-টেস্ট পেটের পেশীর শক্তি মাপার পক্ষে যথার্থ বা বৈধ কিনা বা তার উল্টোটা। তবু বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের এই অভিক্ষা গুলোই ব্যবহার করতে হয় যাদের বৈধতা সম্পর্কে সন্দেহের অবকাশ আছে। সুতরাং শুধু শারীর শিক্ষা নয়, যে কোন শিক্ষামূলক অভীক্ষাগুলির ক্ষেত্রে যথার্থতা বলতে কোন চরম অবস্থাকে বুঝলে তা ভুল হবে। তাই আধুনিক শিক্ষাবিদ্‌গন শিক্ষামূলক ও মনোবৈজ্ঞানিক পরিমাপের ক্ষেত্রে 'যথার্থতা' কথাটি সব সময় আপেক্ষিক অর্থে ব্যবহার করেন এখানে চরম কোন মান নেই। এই আধুনিক ধারণা অনুযায়ী কোন অভীক্ষা যতটা সার্থকভাবে অভীষ্ট গুণকে পরিমাপ করতে সক্ষম হচ্ছে, তাই হল তার যথার্থতা।


 


6) আদর্শয়ান (Standardization) : শিক্ষামূলক ও মনোবৈজ্ঞানিক অভীক্ষায় প্রাপ্ত স্কোরগুলির তাৎপর্য নির্ণয় করার জন্য কোন চরম মান থাকে না। এই জন্য একই স্কোরমান বিভিন্ন পরীক্ষকের কাছে ভিন্ন ভিন্ন অর্থবহ হতে পারে। একজন ছাত্র মোট ১০০ স্কোরের মধ্যে । দাবার কেউ ভাবতে পারেন, স্কোরটি মধ্যম পারদর্শিতা নির্দেশক। এমনকি, অনেকে ভাবতে পারেন, স্কোরটি নিম্ন পারদর্শিতার 50 পেলে, তার অর্থ শতকরা 50 ভাগ পারদর্শিতা নয়। কেউ সেই স্কোরকে উচ্চ স্কোর হিসাবে বিবেচনা করতে পারনে। পরিচায়ক, কারণ অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের সকলে ৫০-এর উপরে স্কোর পেয়েছে। এই তিন ধরনের ধারণা গঠনের পদ্ধতি



 

Tags

Post a Comment

0Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
Post a Comment (0)

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !